দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে কমমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিক্রির জন্য সরকার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। এতে দেশের বাজারে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৩৩ দশমিক ৭০ টাকা পড়লেও সরকার ১৩ টাকা ৭০ পয়সা ভূর্তুকি দিয়ে ২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করবে। দ্রুত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় তার জন্য সবধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টমস ও বন্দর কৃর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্নআয়ের মানুষদের কিছুটা স্বস্তি দিতে দেশের এক কোটি এক লাখ পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এতে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ টাকা মূল্যে ২ কেজি পেঁয়াজ, ৫৫ টাকা দরে এক কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল ও ১১০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল দিচ্ছে।
পেঁয়াজের যোগান দিতে সরকার ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি শুরু করেছে। আমদানি মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৩৩.৭০ টাকা। বন্দর থেকে দ্রুত যাতে পেঁয়াজ ছাড় হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে দেশীয় বাজারে কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহ আগে খোলা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন কমে এসে দেশী পেঁয়াজ ৪০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা।