বলিউডে এক দশক আগেও নির্দিষ্ট কিছু ধারায় বছরে একাধিক সিনেমা তৈরি হতো। তার মধ্যে বহুল চর্চিত বিষয় ছিল কলেজজীবনের প্রেম। একটা সময় তো ফর্মুলাই হয়ে গিয়েছিল, কলেজে নায়ক-নায়িকার দেখা হওয়া, প্রথমে কিছুটা বৈরী পরিবেশ, তারপর প্রেম ও বড়লোক বাবা কিংবা ভাইয়ের সঙ্গে নায়কের দহরম-মহরম, অতঃপর সুখে-শান্তিতে বসবাস। তবে প্রচলিত এ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে কিছু সিনেমা ভিন্ন গল্প দিয়ে মুগ্ধ করেছে সবাইকে। সময় বদলেছে, সেই সঙ্গে বদলেছে কনটেন্টের ধরন। এখন আর কলেজজীবনের প্রেম নিয়ে খুব একটা সিনেমা তৈরি হতে দেখা যায় না।
গত শুক্রবার বলিউডে মুক্তি পেল ‘মিডল ক্লাস লাভ’। এ সিনেমায় সেই পুরোনো বিষয় টিনএজ প্রেম তুলে এনেছেন নির্মাতা রত্না সিনহা। যিনি এর আগে ‘শাদি মে জরুর আনা’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। রত্না সিনহা বলেন, ‘সহজ-সরল গল্পগুলো ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ বেশির ভাগ মানুষের জীবন সাধারণ। তার কষ্ট থাকে, না– পাওয়া থাকে, কখনো কখনো জীবনে আসে সুন্দর মুহূর্ত। ছাত্রজীবন সেই সব দারুণ সময়ের অন্যতম অধ্যায়। অথচ এখন পর্দায় তা অনুপস্থিত। জটিল সব বিষয়ে আমাদের কনটেন্ট পরিপূর্ণ। গল্প আসে বেশিরভাগই থানা থেকে। আমি তোমাকে ভালোবাসি—এমন সহজ-সুন্দর কথাগুলো এখন আর সিনেমায় ব্যবহার হয় না।’
ছাত্রজীবন নিয়ে সম্প্রতি তৈরি ভারতের দুটি সিনেমা বেশ আলোচিত হয়েছে—‘৯৬’ ও ‘হৃদয়ম’। দুটি সিনেমাই তৈরি হয়েছে দক্ষিণে, বলিউডে নয়। তবে পেছনে তাকালে বলিউডেও এমন অনেক সিনেমার খোঁজ পাওয়া যাবে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক
ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক নিয়ে অনেক সিনেমা হয়েছে বলিউডে। হৃতিক অভিনীত ‘সুপার থার্টি’ সিনেমায় দেখানো হয়েছে বিহারের গণিতবিদ আনন্দ কুমার পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের বাচ্চাদের পড়ান। শিক্ষক আর ছাত্রের সম্পর্কের মাধুর্য এত দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক, যা দর্শকের চোখে আনে আনন্দাশ্রু। টুরেটস সিনড্রমে আক্রান্ত এক শিক্ষিকার জীবনযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে ‘হিচকি’ সিনেমায়। একজন শিক্ষিকা এই দুর্বলতাকে হাতিয়ার বানিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেটা নিয়েই এ সিনেমার গল্প। এ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছে ‘ব্ল্যাক’, ‘তারে জমিন পার’, ‘ম্যায় হু না’-এর মতো আলোচিত সিনেমা।