ইউক্রেনের বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে দেশটির উত্তর-পূর্বের উল্লেখযোগ্য এলাকার দখল হারিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের বাহিনীর এই সাফল্যের বিপরীতে রুশ বাহিনীর বিপর্যয় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য কী অর্থ বহন করে, তিনি এখন কী ভাবছেন, কী করতে পারেন, তা বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির রাশিয়াবিষয়ক সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সাপ্তাহিক সংবাদ অনুষ্ঠানে সাধারণত ক্রেমলিনের সাফল্যের কথাই প্রচার করা হয়। আর দর্শকেরাও তেমনটাই প্রত্যাশা করেন।
তবে গত রোববারের অনুষ্ঠানটি একটি বিরল স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয়। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক দিমিত্রি কিসেলেভ মলিন চেহারায় ঘোষণা করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে এটি ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন সপ্তাহ।
দিমিত্রি কিসেলেভ আরও বলেন, বিশেষ করে খারকিভের যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি ছিল কঠিন। সেখানে শত্রু বাহিনীর আক্রমণের পর রুশ সেনারা ‘মুক্ত’ শহরগুলো ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
রুশ সেনারা কয়েক মাস আগেই এই এলাকাগুলো দখল করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁরা ইউক্রেনের বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে তা হারিয়েছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এখনো পরিস্থিতিকে নিজেদের অনুকূল হিসেবে দেখানো হচ্ছে। খারকিভ অঞ্চলে যা ঘটেছে, তাকে সরকারিভাবে পশ্চাদপসরণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে না।
রাশিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে বলা হয়, ইউক্রেনের ইজিয়ামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে রুশ সেনাদের পালিয়ে যাওয়ার গুজব নাকচ করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।