দেশে টেক্সটাইল শিল্পে বিদেশিরা কাজ করবে কি না, তা সরকার নয়, এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের নীতিনির্ধারকেরা ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ রোববার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বিদেশি কর্মীদের আধিপত্য, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্মকাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশে সরকার অনেকগুলো টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে, যাতে দেশেই দক্ষ কর্মিবাহিনী তৈরি হয়। টেক্সটাইল খাতের বিকাশে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি। দেশে পর্যাপ্ত কর্মী বাহিনী তৈরি হলে বিদেশ থেকে আর কর্মী আনার প্রয়োজন হবে না বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে এখনই কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট খাতের নীতিনির্ধারক ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি আহ্বানও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিএমইএ ফ্যাশন ও টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আয়ুব নবী খান।
তিনি জানান, প্রতি বছর ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বিদেশি কর্মীর মাধ্যমে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশে যখন ডলারের সংকট চলছে, তখন এই বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নীতিনির্ধারক ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।