নার্স খুঁজে পাচ্ছে না কানাডার অনেক হাসপাতাল, অস্ট্রেলিয়ায় প্রকৌশলীর ঘাটতি ব্যাপক, পানির পাইপলাইন মেরামত মিস্ত্রির ঘাটতিতে রয়েছে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রের ডাক বিভাগে আরো কর্মী প্রয়োজন। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার সময় যে ‘গ্রেট পদত্যাগ’ হয়েছিল, করোনা-পরবর্তী বিধি-নিষেধ উঠে গেলেও সেসব শূন্যস্থান এখনো পূরণ হয়নি।
পূর্ব জার্মানির সফটওয়্যার কম্পানি কারেন্টসিস্টেম-২৩-এর সিইও মিখায়েল ব্লুম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘কর্মী খুঁজতে গিয়ে অনেক বেগ পোহাতে হচ্ছে। যেদিকেই তাকাচ্ছি, দক্ষ কর্মীর অভাব প্রকট।'
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশ জার্মানিতে আট লাখ ৮৭ হাজার কর্ম খালি রয়েছে। আগস্টের কর্ম খালির এই হিসাব গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এক লাখ আট হাজার বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে লাগিয়ে রাখা হয়েছে ‘হেল্প ওয়ান্ডেট’ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন। সেখানে গত জুলাই পর্যন্ত এক কোটি ১০ লাখ কর্ম খালি ছিল। অর্থাৎ প্রতিজন চাকরিপ্রার্থীর বিপরীতে দুটি পদ খালি।
ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ আরিয়েনে কার্টিস বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে কর্ম খালির সংখ্যা খুবই বেশি। জরিপে দেখা যাচ্ছ এবং কম্পানিগুলোও বলছে এসব পদ পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ’ তিনি বলেন, ‘পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার কম্পানিগুলো অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে, দক্ষ কর্মীর পদ তারা পূরণ করতেই পারছে না। যদিও পূর্ব ইউরোপ, তুরস্ক ও লাতিন আমেরিকায়ও একই সমস্যা চলছে। ’
জুলাই মাসে প্রকাশিত ওইসিডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাপূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় ২০২১ সালের শেষ নাগাদ শূন্যপদ থেকে বেকারত্বের হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ব্রিটেনে। গত জুলাইয়ে ব্রিটেনে বেকারত্ব কমে হয়েছে ৩.৬ শতাংশ, যা ৪৮ বছরে সর্বনিম্ন।
কর্মীসংকটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেমন—যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে শিক্ষকের অভাব থেকে শুরু করে ইতালির হসপিটালিটি খাত এবং কানাডার স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক কর্মীসংকট। এই অবস্থায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখন মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।