ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘ডলারের পাশাপাশি ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে। ’
গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওকাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোলের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব নজরুল ইসলামের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী সমসাময়িক পরিস্থিতি, বাংলাদেশের বাণিজ্য, নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ, বাজার নিয়ন্ত্রণসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
দোকানে জিনিসপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী দুই সপ্তাহ আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভোজ্য তেল ও চিনির দাম বেঁধে দিতে পারি। এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাকি সাতটি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার দায়িত্ব কৃষি মন্ত্রণালয়ের। দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা আসতে হবে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী গত ৩০ আগস্ট চাল, গম, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, চিনি, মসুর ডাল, রড ও সিমেন্ট—এই ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে সেটি কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানান। সে হিসাবে ১৬ সেপ্টেম্বর সময় পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে তিনি আরো সাত দিন সময় চেয়েছিলেন।
এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি বলেন, এসংক্রান্ত একটি চিঠি কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে। রপ্তানি আয় বাড়াতে ২০২৬ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৯ সাল থেকে এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না বাংলাদেশের। তখন থেকে উন্নত দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই বিশ্ববাণিজ্য করতে হবে।