বাংলাদেশে বর্তমানে কত শতাংশ দম্পতি সন্তান ধারণে অক্ষম, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে অনুমান করা যায়, সংখ্যাটি ক্রমে বেড়েই চলেছে। এজন্য প্রয়োজন যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ।\
নারীর বন্ধ্যত্বের কারণ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সন্তান ধারণের চেষ্টা করার পর টানা এক বছর যদি কেউ সফল না হন, তাকে ইনফার্টাইল বা সন্তান ধারণে অক্ষম হিসেবে গণ্য করা হয়। কিছু দম্পতি তাদের মধ্যে সন্তান ধারণ ক্ষমতায় অক্ষমতা প্রায় একই রকম। দেখা যায়, দম্পতির মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রী এবং একই সংখ্যক স্বামীর শারীরিক সমস্যা রয়েছে। বাকি ১০ ভাগ ক্ষেত্রে দুজনেরই সমস্যা থাকে। কিন্তু ১০ ভাগ ক্ষেত্রে সমস্যা অজানা থেকে যায়। সাধারণত নারীর প্রেগন্যান্সির জন্য জরুরি পলিসিস্টিক ওভারি (যার মাধ্যমে একটা করে ওভাম আসার কথা) আসে না। জরায়ুর কিছু সমস্যা থাকে, যা জন্মগত হতে পারে আবার অসুখের কারণে হতে পারে। জন্মগত সমস্যার কারণে হয়তো ডিম আসছে না। তার টিউব ব্লক, জরায়ু যেটা আছে, সেটা বাচ্চার মতো। আরও কিছু অসুখ আছে, যেমন- ওভারিয়ান চকোলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিস ইত্যাদি। হরমোনের কারণেও হতে পারে। যেমন- থাইরয়েডের সমস্যা। যৌনবাহিত রোগ নারীর প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি করে। সেজন্যও বন্ধ্যত্ব হতে পারে।