দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। জীবনযাত্রার পরিবর্তনে কায়িক পরিশ্রমের ঘাটতি ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। এ ছাড়া পারিবারিক ইতিহাসে কারও ডায়াবেটিস থাকলেও এর ঝুঁকি থাকে বেশি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রধানতম চাবিকাঠি হলো জীবনধারার পরিবর্তন। জীবনধারার পরিবর্তন বলতে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চাকে বোঝায়।
ডায়াবেটিক রোগীর ব্যায়ামের বিকল্প নেই। সকাল-সন্ধ্যা নিয়মিত হাঁটাচলা, হাটবাজারে কোথাও গেলে অল্প দূরত্বে রিকশা বা গাড়ি ব্যবহার না করা। অল্প কয়েক তলার জন্য লিফট ব্যবহার না করে হেঁটে ওঠা বা নামা ইত্যাদির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে পাঁচ দিন বা সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটলে এবং শরীরের ওজন ৭ শতাংশ কমালে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা কমে প্রায় ৫৮ ভাগ। আর যদি ডায়াবেটিস হয়েই থাকে, তবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও হাঁটা বিশেষ কার্যকর। হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের পেশিতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং রক্তের সুগার কমে, ওষুধ লাগে কম।
আমাদের দেহে ইনসুলিনের ঘাটতি বা নিঃসৃত ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে গেলে ডায়াবেটিস দেখা দেয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ইনসুলিন রক্তের শর্করা মাংসপেশিতে প্রবেশ করাতে সহায়তা করে। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে আসে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরচর্চার ক্ষেত্রে সব বয়সী মানুষের জন্য হাঁটা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর ব্যায়াম। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হাঁটার গুরুত্ব অপরিসীম।