রানি এলিজাবেথের বিদায়ের পর কিছু কথা

আজকের পত্রিকা মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৫০

আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদ দেখার এখন আর সুযোগ নেই। ১৯ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সিএনএন, বিবিসি, আল জাজিরাসহ নানা টেলিভিশনে মূল সংবাদ রানির বিদায় এবং তৃতীয় চার্লসের সিংহাসন আরোহণ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এখনো রাজতন্ত্র আছে। পাশাপাশি এসেছে গণতন্ত্র। কিন্তু এ রকম রাজতন্ত্রের বন্দনা আর কোথাও নেই। এ রকম আরেকবার দেখেছিলাম প্রিন্স ডায়ানার মৃত্যুর পর। সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম একেবারে যেন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। রানিকে তখন খুব অসহায় লাগছিল।


সংবাদমাধ্যমে ডায়ানাকে বলা হয়েছিল ‘কুইন অব হার্টস’। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দুবার ঢাকায় এসেছিলেন। প্রথমবার ১৯৬১ সালে, দ্বিতীয়বার ১৯৮৩ সালে। দুবারই ছিল সামরিক শাসন। একবার আইয়ুব খান, অন্যবার জেনারেল এরশাদ। দুবারই দেশে গণতন্ত্র ছিল না। প্রচুর অর্থ ব্যয়ে রানিকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল। খণ্ডিত ভারতবর্ষ কেমন আছে, সেটা দেখার জন্য তিনি এসেছিলেন? নাকি তাঁর প্রজারা কেমন আছেন, তা-ই ছিল তাঁর দেখার বিষয়? রানির দুটি সফরই ছিল মূলত কমনওয়েলথে ব্রিটিশরাজ কতটা শক্তিশলী আছে, তা দেখার জন্য এবং একটা বড় আত্মতৃপ্তি নিয়েই তিনি দেশে ফিরেছেন। দেশের মানুষের ভেতরটা দেখার কোনো আগ্রহ ও প্রয়োজন তিনি অনুভব করেননি।


মেরি অ্যান্ডারসনে করে নদীভ্রমণ এবং গাজীপুরের গ্রামের উৎসব দেখে তিনি একটা বড় আনন্দ নিয়েই দেশে ফিরলেন। ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন নিয়ে অনেক আলোচনা, বইপুস্তক প্রকাশ হয়েছে। সেই ১৭৭৭ সাল থেকে বাঙালিরা লন্ডনযাত্রা শুরু করেছে। উচ্চবিত্তের সন্তানেরা লেখাপড়া করতে ইংল্যান্ড যাবে—এটা কালক্রমে প্রতিষ্ঠিত সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। উচ্চতর শিক্ষা এবং সংস্কৃতি তাদের আকৃষ্টও করত। সেই সময়ে রাজা রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর শুধু ইংল্যান্ড গেলেনই না, তাঁদের মৃত্যুও হলো সেখানে।


মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ গেছেন, আবার ফিরেও এসেছেন। আর ডাক্তারি পড়ে বড় ডাক্তার হয়েও অনেকে ফিরে এসেছেন। আর এসেছেন ভূরি ভূরি ব্যারিস্টার। তাঁদের মধ্যে আছেন গান্ধী, জিন্নাহ, নেহরুসহ অনেক আইনজীবী, যাঁরা পরবর্তীকালে ভারতের রাজনীতির হালটা ধরেছিলেন। তাঁরা ইংল্যান্ড থেকে নিয়ে এসেছিলেন পেশাগত সার্টিফিকেটের সঙ্গে দেশপ্রেমের চিন্তা। কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যার সূচনা।


ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ  দিকে ইংরেজি জানা একটা সম্প্রদায় সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। হিন্দি, উর্দুও কিছু পরিমাণে চলত আর সবচেয়ে রাজনৈতিকভাবে অগ্রসর প্রদেশ বাংলায় চলত বাংলা। কিন্তু কালক্রমে যোগাযোগের ভাষা হয়ে উঠল ইংরেজি। অফিস-আদালতে ইংরেজিই চলত। ফলে ইংরেজি ভাষাভাষী ভারতীয়রা সর্বক্ষেত্রে একটা প্রাধান্য পেতে শুরু করে। দেশের রাজনীতি মূলত চলে যায় ভারতীয় আইন ব্যবসায়ীদের হাতে এবং এই আইন ব্যবসায়ীরা জনগণের সঙ্গে একেবারেই সম্পৃক্ত ছিলেন না। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us