‘কেহ একা থাকিও না। যদি অন্য কেহ তোমার প্রণয়ভাগী না হইল তবে তোমার মনুষ্যজন্ম বৃথা। পুষ্প সুগন্ধি, কিন্তু যদি ঘ্রাণগ্রহণকর্তা না থাকিত, তবে পুষ্প সুগন্ধি হইত না—ঘ্রাণেন্দ্রিয়বিশিষ্ট না থাকিলে গন্ধ নাই। পুষ্প আপনার জন্য ফুটে না।
পরের জন্য তোমার হৃদয়-কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও। ’—বঙ্কিমচন্দ্রের এই উক্তির মর্মার্থ কী? কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি এই কথা কটির দ্বারা? মানুষের নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ব, বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়। মানুষ সামাজিক জীব, সমাজে থেকেই তাকে চলতে হবে, সমাজের প্রতি তার কর্তব্য আছে, সমাজেরও তার প্রতি কর্তব্য আছে। প্রতিটি মানুষকে বাঁচতে হবে এই সচেতনতা নিয়ে এবং কাজ করতে হবে বাস্তব অবস্থা বুঝে সর্বজনীন কল্যাণে। সর্বজনীন কল্যাণের মধ্যে তার নিজের কল্যাণও অবশ্যই থাকবে।