বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপকালে দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে উল্লেখযোগ্য হারে ঋণ বিতরণ কমেছিল। পরবর্তী সময়ে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্বাভাবিক হতে শুরু করে সবকিছু। এসব খাতে ঋণ বিতরণও বাড়তে থাকে। এক বছরের ব্যবধানে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-মে-জুন মাস) সিএমএসএমই খাতে ২ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন গ্রাহকের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৬ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। গত বছরের (২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক) একই সময়ের তুলনায় এ ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের দ্বিতীয় (এপ্রিল-মে-জুন মাসে) প্রান্তিকে এ খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল ৪১ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, করোনাকালীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে ছোট ব্যবসায়ী। সেসময় তাদের মাঝে ঋণ বিতরণও কমেছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যেও স্থবিরতা কাটে। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ নিচ্ছেন। এতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ অনেকাংশে বেড়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, অর্থনীতিতে ছোট ব্যবসায়ীদের ভূমিকা অনেক। তাদের ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে সুপারিশ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোও এগিয়ে আসেছে, ঋণ দিচ্ছে। ছোট ঋণ আদায়ও হচ্ছে ভালো। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব বিষয়ে তৎপর। এসব কারণেই সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে।