শুরুতেই মিলতে পারত গোল, রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজানোয় হলো না। কিন্তু বাংলাদেশের আক্রমণের তোড়ে ভারত বেশিক্ষণ জাল অক্ষত রাখতে পারল না। দ্বাদশ মিনিটে গোল এনে দিলেন স্বপ্না। উড়ন্ত শুরু পাওয়া দলকে এরপর ম্যাচে চালকের আসনে বসালেন কৃষ্ণা। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এগিয়ে থাকার দারুণ তৃপ্তি নিয়ে বিরতিতে গেল বাংলাদেশ।
নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী এক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে দশরথের আঙিনায়। মারিয়া মান্দা-মনিকা চাকমা-সানজিদা খাতুন মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মসৃণ করে দেন আক্রমণের পথ।
সপ্তম মিনিটে ভারতের জালে বল জড়ালেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। আঁখির পাস ধরে সানজিদা খাতুন আড়াআড়ি ক্রস বাড়িয়েছিলেন গোলমুখে। স্বপ্না ও কৃষ্ণা রানী সরকার ছুটেন হেডের জন্য; ভারতের গোলরক্ষক অদিতি চৌহান বল ধরতে যাওয়ার সময় কৃষ্ণার সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে যান। স্বপ্না টোকায় বল জালে জড়ালেও রেফারি বাজান ফাউলের বাঁশি।
দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মাতে বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে এগিয়ে আক্রমণের সুর বেঁধে দিলেন সাবিনা, তার বাড়ানো পাস ধরে কৃষ্ণা দিলেন বক্সের দিকে ছোটা সিরাত জাহান স্বপ্নাকে। বাঁ পায়ের নিখুঁত প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ২০১৬ সালে শিলিগুঁড়ির আসরের ফাইনালে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন স্বপ্না।