রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে রাশিয়া, বেলারুশ এবং মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন। আগামী সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। একটি সূত্র মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। ওই হামলাকে কেন্দ্র করে ব্রিটেন এবং এর পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়া এবং এর ঘনিষ্ট মিত্র বেলারুশকে বিশ্ব মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। অপরদিকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, নির্বিচারে হত্যা এবং তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারও ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে।
এসব কারণে রাশিয়া, বেলারুশ বা মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধি রানির শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারবেন না। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যেসব দেশের সঙ্গে ব্রিটেনের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশের বেশিরভাগ রাষ্ট্রপ্রধানই রানির শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন। লন্ডনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে প্রায় ৫শ বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন থেকে শুরু করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফলে কয়েক বছরের মধ্যে এটাই হতে যাচ্ছে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সমাবেশ। এর আগে বিদেশি অতিথিদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি প্রকাশ করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে কোনো ব্যক্তিগত প্লেন অবতরণের অনুমতি পাবে না। ওই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে হলে অতিথিদের বাণিজ্যিক ফ্লাইট ব্যবহার করতে হবে। তবে লন্ডনের অন্যান্য বিমানবন্দরে নামলে ব্যক্তিগত প্লেন ব্যবহার করতে পারবেন অতিথিরা। বিমানবন্দরে নামার পরে প্রাইভেটকারে নয়, বরং সব বিশ্বনেতা ও তাদের সফরসঙ্গীদের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাতে হবে বাসে চড়ে। থাকবে না হেলিকপ্টার ব্যবহারের সুযোগও। তবে অতিথিদের বাসে যাওয়ার জন্য থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানস্থলে ‘স্থান স্বল্পতার’ কারণে অতিথিদের সংখ্যাও সীমিত রাখতে বলা হয়েছে।