শ্রীধরন শ্রীরামকে নিয়োগ দিয়ে এশিয়া কাপের দলটা তুলে দেওয়া হয়েছিল তাঁর হাতে। এশিয়া কাপে ১৫ ক্রিকেটারকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। চোটের কারণে স্কোয়াডে না থাকায় লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী রাব্বি ও হাসান মাহমুদকে দেখা হয়নি তার। এই চারজনই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরীক্ষিত। কোচের সামনে লিটন, সোহানদের নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার কিছু নেই। তবুও শ্রীরামের সামনে পরীক্ষা দিতে লিটনদের পাঠাচ্ছে বিসিবি।
টি২০ কোচ ৩০ ক্রিকেটারকে পরখ করবেন তিন দিনের ক্যাম্পে। এই ভারতীয় অনুশীলন ম্যাচ দেখে বাছাই করবেন বিশ্বকাপের ক্রিকেটার। ২০ থেকে ২৫ বছর আগে ঠিক এভাবেই ট্রায়ালের মাধ্যমে জাতীয় দল গড়া হতো বাংলাদেশে।
বিসিবি জাতীয় নির্বাচক প্যানেল নিয়োগ দিয়েছে খেলোয়াড় বাছাইয়ের জন্য। মিনহাজুল আবেদীন নান্নুরা লম্বা সময় ধরে এই কাজই করছেন। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ঘরোয়া লিগে কোচিং করানোর পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায় থেকে ক্রিকেটার তৈরির কাজও করেন। দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের নাড়িনক্ষত্র জানা সুজন, নান্নু, বাশার, রাজ্জাকদের। তাঁরাই কিনা জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদেরও তথাকথিত পরীক্ষার মঞ্চে ঠেলে দিচ্ছেন।
তাহলে কি টি২০ ক্রিকেটার চিনতে ভুল হচ্ছে এই সাবেক তারকাদের? ৩০ থেকে ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা যদি টি২০-এর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে ভিনদেশি একজন কোচ মাত্র তিনটি সেশন দেখে প্রতিভা চিনে নিতে পারবেন কি? দেশের ক্রিকেটপাড়ায় তাই গুঞ্জন- চান্দিকা হাথুরুসিংহে যেমন অপরিণত লেগ স্পিনার যুবায়ের হোসেন লিখনকে টেস্ট ক্রিকেটার বানিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীরামকে তেমন কিছু করতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।