এই কলামে চার সপ্তাহ আগে (১৩.০৮.২২) ‘আইন আছে, প্রয়োগ নেই এ অবস্থা আর কতকাল?’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম। ওতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায়শ আমার যাতায়াতের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু অম্লমধুর কথাবার্তা ছিল। কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য অল্পবিস্তর সুপারিশও ছিল। তখন বুঝিনি ওই লেখাটির ধারাবাহিকতায় আরেকবার কলম ধরতে হবে এবং তা শিগগিরই।
গত ১ তারিখ বৃহস্পতিবার সড়কপথে সিলেট যাচ্ছিলাম। ওই দিনই দুপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল ওখানে। যানজটটানজটের কারণে যথেষ্ট দেরি হয়ে গিয়েছিল রাস্তায়। সরাইল পার হয়ে রাস্তা একটু ফাঁকা পেয়ে আমার চালক গাড়ির গতি দিল বাড়িয়ে। আমি আড় চোখে স্পিডোমিটারে দেখলাম গাড়ি ৯০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে ফাঁকা রাস্তায়। শাহবাজপুর ব্রিজ পার হয়ে হঠাৎ দেখি রাস্তায় বন্দুকধারী কজন পুলিশ হাতের বন্দুক উঁচিয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। ড্রাইভার গাড়ি থামাতেই এঁদের একজন এগিয়ে এসে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলেন। ওগুলো সবই ঠিকঠাক ছিল। কাজেই ওগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমাদের আবার ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটার পালা। কিন্তু না, যাওয়া গেল না। বলে না, ‘বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা’। আমি তখন বাকি পঁয়ত্রিশ ঘা-র জন্য মানসিকভাবে তৈরি হচ্ছি। সেই সিনিয়র সিপাইটি জানালেন, আমরা গতিসীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালাচ্ছি, তাই জরিমানা দিতে হবে।