সরকার অনেক সময় কাজ করে ঠিকই, কিন্তু বেশ দেরিতে করে। ফলে বাজারের অশান্তি যায় না, বাজার গরম হয়। ভোগে সাধারণ মানুষ। এর সর্বশেষ উদাহরণ চালের বাজার। হঠাৎ করে চালের বাজারে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। কথা নেই বার্তা নেই, প্রতিদিন চালের দাম বাড়তে থাকে।
মিডিয়া এ সম্পর্কে প্রতিদিন খবর দিতে শুরু করে। কী কারণে বাজারে দাম বাড়ছে, কার কারণে বাড়ছে-বোধগম্য হচ্ছিল না। দোকানিদের বক্তব্য-চালের অভাব। ৮-১০ দিন আগে আমি চাল কিনতে যাই। অত্যধিক দাম দেখে দোকানিকে জিজ্ঞেস করি, হঠাৎ করে দাম বাড়ার কারণ কী? তার উত্তর আশঙ্কাজনক। বলল, স্যার, চাল বেশি নিয়ে যান। আমি সাধারণত কিনি ২৫ কেজির বস্তা, যা অনেকদিন চলে যায়। দোকানি বলল দুই বস্তা নিতে।
কারণ দাম আরও বাড়বে। ও নিশ্চিতভাবেই বলল। কারণ নাকি খরা। ‘দেখছেন না উত্তরবঙ্গে পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির।’ সামনে আমন ফসল। অগ্রহায়ণ/পৌষ মাসে তা উঠে। আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। অবশ্য বোরোই এখন আমাদের এক নম্বর ধানি ফসল, বোরো ছাড়া রয়েছে আউশ ও আমন। এখন ভাদ্র মাস। আশ্বিন-কার্তিক-অগ্রহায়ণ এমনিতেই আগের দিনে ‘হা-ভাতের’ মাস ছিল। এখন তা আর নেই।
আগের দিনে এ দিনগুলো ছিল বেশ কষ্টের। যতক্ষণ না আমন উঠত, ততক্ষণ ভাতের অভাব ঘুচত না। এ সময়টা ছিল বাঙালির জন্য খুবই খারাপ সময়। অবশ্য তখন বোরোর এত প্রচলন ছিল না। এবার কী হলো যে সরকারের হাতে এত খাদ্য থাকতেও ভাদ্র মাসে চালের দাম বাড়ছে? কারণ হিসাবে দোকানিরা বলছে খরার কথা। বৃষ্টির জল নেই। মাটির নিচে পানির স্তর নেমে গেছে। রয়েছে ডিজেলের সংকট, সারের সংকট। জামালপুর এর সাক্ষ্য।