অজ্ঞাত মামলা আর নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:২০

দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দিন দিন। বিভিন্ন স্থানে সংঘাত আর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিন। পত্রিকায় বড় বড় খবর আর পাঠক পড়ছেন সেসব ভীষণ আগ্রহ নিয়ে। রাজপথে উত্তেজনা না থাকলে তা নাকি রাজনীতি বলে মনে হয় না। এমনকি টেলিভিশনের টক-শো’তেও উত্তেজনা না ছড়ালে নাকি তা মানুষ দেখতে চায় না। যুক্তিপূর্ণ কথার চাইতে অপ্রাসঙ্গিক এবং অযৌক্তিক কথা উচ্চস্বরে বললে নাকি দর্শক-শ্রোতাদের একটা বড় অংশ মনে করেন, দারুণ বলেছে, একেবারে প্রতিপক্ষকে শুইয়ে দিয়েছে। তর্কের মধ্যে মারমার কাটকাট ভাব থাকলে টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের দর্শক সংখ্যা এবং মতামত প্রদানের হার বাড়তে থাকে তর তর করে। দর্শক-শ্রোতাদের এই ধরনের পছন্দের কারণ কী তা নিয়ে একটা গবেষণা হতে পারে, এবং তা মানুষের মনস্তত্ত্ব বুঝতে সহায়তা করতে পারে কিন্তু ব্যাপারটা যে গণতান্ত্রিক মানসিকতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য অনুকূল নয় সেটা অনুভব করছেন সবাই।


কোনো রাজনৈতিক দল একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে কথা বলছে, একটি বড় জনসমাবেশ করেছে এটা কোনো খবর নয়। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে, আহত নিহত হয়েছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন হয়েছিল খাদ্যের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে। সরকারি দল টিটকারি করত এই বলে যে, এসব নিরামিষ আন্দোলন। এক পর্যায়ে আন্দোলন উত্তাপ ছড়াল, পুলিশের গুলিতে হতাহত হলেন অনেক আন্দোলনকর্মী। বিরোধী দলের জিজ্ঞাসা ছিল তখন, এবার কি আন্দোলনে আমিষ পাওয়া গেল? বাংলাদেশেও সমালোচনার ধরনটা সে রকমেরই। সরকারি দল বলতে থাকে, বিরোধীদের আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই, এরকম আন্দোলন করে কিছু করতে পারবে না ইত্যাদি। এর ফলে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে তার কিছু নজির লক্ষ করা যাচ্ছে।


রাজনীতিতে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি থাকবেই। থাকবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকা তখন কীরকম হবে? তারা কি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী থাকবেন নাকি দলীয় কর্মীর মতো ভূমিকা পালন করবেন তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এর রাজনৈতিক সমাধান হয়নি বরং এই ধারণাটাই স্থায়ী হয়েছে যে, যারা ক্ষমতায় থাকবেন তারা প্রশাসন ও পুলিশকে তাদের মতো করেই ব্যবহার করবেন। ফলে ক্ষমতাসীনরা আন্দোলনকারীদের পুলিশের ভয় দেখাবেন আর বিরোধী দল মোকাবিলা করবে পুলিশকে। পুলিশের ভূমিকা আর রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মনোভাব দুই ক্ষেত্রেই যখন মারমুখী অবস্থান তখন ক্ষমতাসীন দলের বক্তব্য উসকানির মতো শোনায়।


ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে পুলিশ নামে মাঠে, মারপিট করে, গুলি করে আবার মামলাও করে। এসব মামলার প্রকৃতিটাও ভিন্ন। আসামি করা হয় হাজার হাজার মানুষকে। গ্রেপ্তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয় কর্মীরা। জেলে থাকে অথবা জামিন নিয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরতে থাকে মাসের পর মাস। রাজনৈতিক বিরোধ পরিণত হয় রাজনৈতিক সহিংসতায় আর প্রতিহিংসাপরায়ণতায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us