‘আঁরার চাইরো দাইক্যা পানি, তারপর-অ আরাত্তুন ঘম পানির অভাব। পুরা দ্বীপর মাইনসর জীবন ঘান নুনা পানিত শেষ অই যারগই (আমাদের চারদিকেই পানি তবু খাবার পানির সংকট। পুরো দ্বীপের মানুষের জীবন নোনা পানিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে)’—হতাশার সুরে বলছিলেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা আছিয়া। ৩৫ বছর বয়সী আছিয়া বলেন, ‘আমার বাড়ির নলকূপের পানি বেশি লবণাক্ত। এই পানি ব্যবহার করা কষ্টের। অন্য জায়গা থেকে পানি আনতে প্রায় একঘণ্টা লাগে। এক পাতিল পানি আনতে দুই তিন মাইল হাঁটতে হয়। সেখানেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ বছর আগে এই দ্বীপে লোকবসতি শুরু হয়। বর্তমানে এখানে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তবে দ্রুতই এ দ্বীপের লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানিসহ নানা সংকট।
সরেজমিন দেখা যায়, দ্বীপের অনেক জায়গায় গভীর নলকূপ থাকলেও পানিতে আয়রন ও লবণযুক্ত। ফলে খাবার পানির জন্য রীতিমতো হাহাকার চলছে। সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য নারী-পুরুষ, এমনকি শিশুরাও মাইলের পর মাইল রাস্তা পাড়ি দিচ্ছে। অনেকে পুকুর ও লবণযুক্ত পানি পান করতেও বাধ্য হচ্ছেন।