দীর্ঘদিন পর আবারও ছটকু আহমেদের ছবিতে...
করোনার মধ্যে ছটকু ভাইয়ের সঙ্গে একদিন কথা হলো। আমি বললাম, একটা গল্প লেখেন, চলেন সিনেমা বানাই। তারপর একটা গল্প শোনালেন, খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হলো। বললাম, ছবিটা অনুদানের জন্য জমা দেন। আমি অনেক খুশি, লম্বা সময় পর আবারও তাঁর সঙ্গে কাজ করব।
আপনার প্রথম সিনেমা ‘বুকের ভিতর আগুন’-এর পরিচালক তিনি। সেটা ছিল সালমান শাহর অসমাপ্ত ছবি।
ছবিটির জন্য ছটকু আহমেদ আমাকে নির্বাচন করেছিলেন। তখন সালমান শাহর অনেক জনপ্রিয়তা...এ রকম একটা সময়ে এমন একটা ছবি করা উচিত হবে কি না, তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। অনেকে না করেছে। সবার ধারণা ছিল, আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আমি হারিয়ে যাব। আমার কাছে মনে হয়েছিল, পরিশ্রম করলে পারব।
আপনার ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট?
‘বুকের ভিতর আগুন’ আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এ ছবি দেখেই বাসু চ্যাটার্জি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’তে নিলেন। ‘বুকের ভিতর আগুন’ তখনো মুক্তি পায়নি, ছবির রাশ প্রিন্ট দেখেই তিনি আমাকে নিয়েছিলেন। ছবিটি আমার ক্যারিয়ারে বড় ভূমিকা রেখেছে। এ জন্য আমি সব সময় ছটকু ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ছটকু ভাইয়ের সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক, বন্ধুর মতো সম্পর্ক।
দুই যুগের বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন...
অভিনয়ের দীর্ঘ সময় পার করে ফেলেছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এই তো সেদিন শুরু করেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে যায়, আমরাও বদলে গেছি। যেহেতু নিজেকে অনুভব করা যায় না, মনে হয় সেই আগের জায়গায় আছি। অভিনয়ে আমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, পরিচালকদের কাছে শিখেছি। এখনো শিখছি—প্রতিনিয়ত অভিনয়ের কলাকৌশল পরিবর্তন হতে থাকে। এখন চিত্রনাট্যের ভাষা বদলে গেছে। প্ল্যাটফর্ম বদলে গেছে। শুধু হলে গিয়ে মানুষ আর সিনেমা দেখে না। হাতের মোবাইলেও দেখে। অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরাই মনে হয় সবচেয়ে ভাগ্যবান প্রজন্ম। আমরা ৩৫ মিলিমিটারেও কাজ করেছি, ডিজিটাল প্রযুক্তিতেও কাজ করেছি, ভার্চ্যুয়াল মিডিয়াতেও করছি। জানি না সামনে আর কোন নতুন মাধ্যম চলে আসে।