মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বুলবুল

আমাদের সময় প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৭

সুরের মায়া কাটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা, সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গুণধর এ সংগীত পরিচালকের মৃত্যুতে শুধু পরিবার কিংবা স্বজনরাই নন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য নারী, পুরুষের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে দেশের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েগেছে বলে জানিয়েছে বিশিষ্ট সংস্কৃতি ব্যক্তিরা। তারা বলেন, বুলবুলকে আমরা মূল্যায়ন করতে পারিনি। তার মতো এমন প্রতিভা আর আসবে বলে মনে হয় না। বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মীনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এসে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা এসব কথা বলেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, শিল্পী-সাহিত্যিক, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সব স্তরের মানুষ। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক এম সানাউল হক ও আব্দুল হান্নান। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মাহবুবুল আলম হানিফ, অসীম কুমার উকিল, শিরীন আখতার।এসময় কেন্দ্রীয় শহীদ মীনারে কালজয়ী ইমতিয়াজ বুলবুলকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। পরিবারের চাওয়া অনুযায়ী বাজানো হয়  আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ‘সবক’টা জানালা খুলে দাও না’ গানটি। এরপর  তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ইমতিয়াজ বুলবুলর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষেরা শেষ শ্রদ্ধা জানান তার প্রতি। বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে হয় বুলবুলের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ অনেকে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা-কালজয়ী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।উল্লেখ, গত মঙ্গলবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তিনি ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। সত্তর দশকের শেষ লগ্ন থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পসহ স্বাধীন সংগীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন। রাষ্ট্রীয সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন এই নক্ষত্র। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন আমাদের সঙ্গীত ভুবনের এই ক্ষণজন্মা নক্ষত্র।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us