বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা ও পরে হানিমুনের পর্বের মাধ্যমে শেষ হয় বিবাহ উৎসব। বিয়ের পর দম্পতিরা একে অন্যের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। এতে দুজনের মধ্যে বোঝাপোড়া ও ভালোবাসা বাড়ে।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ের কাছেই বিয়ের প্রথম বছর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে গবেষকরা জানাচ্ছেন, বিয়ের প্রথম বছরই নাকি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কঠিন সময় পার করেন। তবে এর কারণ কী? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
আরও দায়িত্ব পালন করা
বিয়ের পর সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর নানা দায়িত্ব এসে পড়ে। বিয়ে শুধু উদযাপন, নতুন জামাকাপড়, গহনা ও উপভোগের বিষয় নয়। বিবাহের সঙ্গে সঙ্গে দম্পতির ঘাড়ে বাড়তি দায়িত্বও এসে পড়ে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে বিয়ের পর বাইরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নতুন বউ ও তার পরিবারের জন্য ভাবতে হয়।
আবার অন্যদিকে নারীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকদের দেখাশোনা ও তাদের খুশি রাখার দায়িত্ব এসে পড়ে ঘাড়ে।
নতুন পরিবেশে অসুবিধা
বিয়ের পর বেশিরভাগ নারীই স্বামীর পরিবারে চলে যান। সেখানে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া অনেকের ক্ষেত্রে কষ্টকর হতে পারে।
বাবা-মা ও নিজ পরিবার থেকে দূরে গিয়ে স্বামীর পরিবারকে আপন করে নিতে হয়ে নারীদের। সেক্ষেত্রে নতুন পরিবেশ ও মানুষের মধ্যে মানিয়ে চলা অনেকেরই অসুবিধার কারণ হয়।
সংস্কৃতি ও রীতিনীতির পরিবর্তন
সবারই নিজ নিজ সংস্কৃতি আছে, তবে বিয়ের পর নতুন পরিবেশে যাওয়ার পর ভিন্ন সংস্কৃতি ও অভ্যাস শিখতে হয় পরিবারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।
আপনার শ্বশুরবাড়ির মানুষেরা আশা করতে পারে যে আপনি মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। তবে তা আদৌ সম্ভব নয় কিছুদিনের মধ্যেই।