বাংলাদেশ দলে নিয়মিত কোনো ওপেনার নেই। লিটন কুমার দাসের ইনজুরির কারণে এই শূন্যতাটা সবচেয়ে বেশি অনূভত হয়েছে এবার এশিয়া কাপে। অনিয়মিত ওপেনার এনামুল হক বিজয়, নাইম শেখরা যারপর নাই ব্যর্থ হয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাব্বির রহমানকে দিয়েও ইনিংস ওপেন করাতে হয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে।
যার ফল হাতেনাতে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। মিরাজ কিছুটা ভালো করতে পারলেও আর কেউ নিজেদের সেভাবে মেলেই ধরতে পারেনি। দেখেই মনে হয়েছে এরা যেন টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংই পারে না। অথচ, টি-টোয়েন্টিতে ভালো স্কোর করতে হলে প্রথম পাওয়ার প্লে-তেই চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছড়াতে হবে। বিগ হিট খেলে রানকে নিয়ে যেতে হবে প্রতিপক্ষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশ দলের সে মানের কোনো বিগ হিটার নেই। মেহেদী হাসান মিরাজ কিছু বিগ শট খেলতে পারার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্কোর ১৮০ পার (১৮৩) হয়েছিল। কিন্তু মেহেদী মিরাজ তো আর নিয়মিত ওপেনার নন।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে রয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজি। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসরে ওপেনিং নিয়ে কী করবে বাংলাদেশ? এটাই এখন সবচেয়ে চিন্তার বিষয়।