বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বাদ পড়ার পেছনে যে সব কারণ নিয়ে আলোচনা চলছে, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থানকে দূর্বল করে কীনা - এখন এই প্রশ্নও উঠেছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, ভারতের সাথে সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর।
তারা মনে করেন, সেই দেশে শীর্ষ সফর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাদ পড়ার ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতরেও এই ইস্যুতে আলোচনা রয়েছে যে এখন মি. মোমেনের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন বা কাজ চালিয়ে যাওয়া কতটা সহজ হবে ।
দলটির নেতাদের অনেকে বলেছেন, যদিও অসুস্থতার কারণে শেষ মুহুর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফরে যাননি বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে মি. মোমেনকে নিয়ে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে, সেটাও একটা বাস্তবতা।
আর এই পটভূমিতেই ভারত সফর থেকে মি. মোমেনের বাদ পড়ার ঘটনায় তাঁর অবস্থান কতখানি নড়বড়ে হয়ে উঠেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে তারা মনে করেন।