আগের দিন সন্ধ্যায় মা-মেয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন আজ রবিবার সকালে বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাঁশঝাড়ের নিচে মেয়ের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। নিহত ওই নারীর নাম কাজলী আক্তার ময়না (৩০)। তার মা জোসনা বেগম (৫০) নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনররা অভিযোগ করেছেন।
জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের মুনাকুর্শা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ কাজলীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।
নিহত কাজলীর বাবা জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা নয়াপাড়া এলাকার বাদাম ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল কালের কণ্ঠকে জানান, কাজলী কামিল পাস। জেলার বকশীগঞ্জে একটি মাদরাসায় কিছুদিন শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি তালাকপ্রাপ্তা। এর পর থেকে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। সদরের বাঁশচড়া ইউনিয়নের জামিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন কাজলী। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, বাঁশচড়া ইউনিয়নের জামিরা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নিপুন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কাজলীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চায়। চাহিদা অনুযায়ী তাকে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা চাকরি পাওয়ার পর দেওয়ার কথা ছিলো। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর কাজলী ও তার মা জোসনা বেগমকে সাথে নিয়ে নিপুনদের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারা নিপুনের জন্য এক প্যাকেট মিষ্টিও নিয়ে যান। কিন্তু রাতে তারা আর বাড়িতে ফেরেননি। আজ রবিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মোনাকুর্শা গ্রামের একটি নির্জন বাঁশঝাড়ের নিচে কাজলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মোস্তফা কামাল সেটি তার মেয়ে কাজলীর লাশ বলে শনাক্ত করেন। কিন্তু কাজলীর মা জোসনা বেগমের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ে হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং স্ত্রীর সন্ধান চান বাদাম ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল। তবে এ ঘটনার পর থেকে নিপুন বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. শাহনেওয়াজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহত কাজলীর লাশ তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে জবাই করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।