হ্যাপি হরমোন বাড়ায় যেসব খাবার

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৩৪

হরমোন শরীরের রাসায়নিক বার্তাবাহক। এই হরমোনগুলো শরীরের কাজ করার পদ্ধতি থেকে শুরু করে আপনি কেমন অনুভব করেন, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। কিছু হরমোন আছে, যা মানুষের সুখানুভূতিতে প্রভাব ফেলে। এসব হরমোনকে হ্যাপি হরমোন বলা যায়। আমাদের মেজাজ, অনুভূতি, ভালো লাগা নিয়ন্ত্রণ করে ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন—এই চারটি হ্যাপি হরমোন। এগুলোর কারণেই আমরা খুশি হই, আনন্দে থাকি, আমাদের মনমেজাজ ভালো থাকে। 


হ্যাপি হরমোন বাড়ে যেভাবে


ডোপামিন: এটি শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে উৎপাদিত হয়। ডোপামিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যা শরীর ও মস্তিষ্কের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে। নড়াচড়া, স্মৃতি ঠিক রাখা, মেজাজ ভালো রাখা, মনোযোগ ধরে রাখা ইত্যাদি এর অন্যতম কাজ। শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় ডোপামিন থাকা প্রয়োজন।
আমাদের লাইফস্টাইল, আমরা কী খাই, কতবার ব্যায়াম করি ইত্যাদি সবই শরীরে ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। দুধ ও দুধজাতীয় খাবার, সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, বিচিজাতীয় খাবার, ডিম, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি খাবার ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়াতে ভূমিকা রাখে।


সেরোটোনিন: সেরোটোনিন মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে। যেসব খাবার ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে, সেগুলো সেরোটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়ে সেরোটোনিন বাড়ানোর কার্যকর উপায় হলো, প্রতিদিন শরীর চর্চা করা। এমনকি ১০ মিনিট দ্রুত হাঁটলেও মেজাজ ভালো হয়ে যেতে পারে। মানসিক স্থিরতার জন্য সকালের নির্মল পরিবেশে হাঁটা বেশি ফলপ্রসূ। উচ্চ আঁশের শর্করাজাতীয় খাবার, ডিম, মাখন, টফু, টক দই, আনারস, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, সামুদ্রিক মাছ, আয়রনজাতীয় খাবার খেলে শরীরে সেরোটোনিন লেভেল বাড়ে।


অক্সিটোসিন: এই হ্যাপি হরমোনকে লাভ হরমোনও বলা হয়। নারীদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে, অক্সিটোসিন বাড়লে জীবনে সন্তুষ্টি বাড়ে। এটা পুরুষের তুলনায় নারীর শরীর ও সুখে বেশি প্রভাব ফেলে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটালে ও অন্যের প্রতি সদয় হলে শরীরে অক্সিটোসিন বাড়ে। বিশেষত নারীদের জন্য অক্সিটোসিন মা ও শিশুর বন্ধনে সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে অক্সিটোসিন মানসিক সুস্থতার জন্য অবদান রাখে এবং আমাদের ভালো অনুভূতির হরমোন বাড়াতে কাজ করে। চিয়াসিড, ডিমের কুসুম, কফি, টক ফল, কলা, জামজাতীয় ফল, কলিজা, মাশরুম, কলিজা ইত্যাদি খাবার শরীরে অক্সিটোসিন বাড়াতে সাহায্য করে। সূর্যের আলো থেকে পাওয়া ভিটামিন-ডি এই হরমোন বাড়াতে পারে। 


এন্ডোরফিন: এটি স্বাভাবিকভাবে শরীর আনন্দিত করে তোলে। ব্যায়ামের পরে, সুস্বাদু খাবার খাওয়া, হাসা বা সহবাস করার সময় সাধারণত মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়। এন্ডোরফিন ব্যথার অনুভূতি কমায় এবং উচ্ছ্বাসের অনুভূতি তৈরি করে। এন্ডোরফিন নিঃসরণ সুখের অনুভূতির দিকে নিয়ে যেতে পারে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাঁচা মরিচ, ডার্ক চকলেট, লাল চাল, ডিম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-জাতীয় খাবার, কলা, বাদাম ইত্যাদি এন্ডোরফিন তৈরিতে সাহায্য করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us