নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিতে যুবদলের কর্মী নিহতের ঘটনার পর থেকে বিএনপির অনেক নেতার বাড়িতে যাচ্ছে পুলিশ। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এমনকি শাওন হত্যার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকলেও গতকাল শনিবার মাঠে নামেননি নারায়ণগঞ্জের নেতারা।
গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নয়জন নেতার বাড়িতে যান প্রথম আলোর দুজন প্রতিবেদক। তাঁদের মধ্যে আটজনই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কেবল তাঁর কার্যালয়ে পাওয়া গেছে।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, পুলিশের পাশাপাশি বিএনপির নেতাদের খুঁজছেন আওয়ামী লীগের কর্মীরাও। বাড়ির সামনে মহড়ার পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মামলার আসামি ছাড়া অযথা কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু মাহমুদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই মামলায় গতকাল পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোনো দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও হুমকি সমর্থন করি না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২৬ জন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। এ সময় ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকা ও ২ নম্বর রেলগেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।