দেশে অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকগুলো বন্ধে দ্বিতীয় দফার চলমান অভিযানে আরো ৮৫০টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান শুরুর প্রথম ৯৬ ঘণ্টায় এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সময়ে দুজনকে গ্রেপ্তার এবং ১৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি ১৯৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে।
গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত সোমবার অভিযান শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮৫০টি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে। শুক্র ও শনিবারের অভিযানে এ সংখ্যা আরো বেড়েছে। এর আগে গত মে মাসের শেষ দিকে প্রথম দফার অভিযানে সর্বমোট এক হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। জরিমানা করা হয় ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা।
গতবারের মতো এবারের অভিযানেও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে অব্যবস্থাপনার নানা তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। গতকাল কুমিল্লার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার কক্ষের যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সংরক্ষণের ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়া যায়।
এবারের এ অভিযান কত দিন চলবে—প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ আমাদের নিয়মিত কাজের একটি অংশ। করোনা মহামারির কারণে এ কাজ তেমনভাবে করা যায়নি। এ কারণে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এটা নিয়মিত কাজ হিসেবেই চলমান থাকবে। ’
গত বুধবার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) তাদের এক গবেষণার ফল থেকে জানায়, দেশে মাত্র ৬ শতাংশ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের লাইসেন্স আছে। এ ধরনের ৩৫ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চলছে নিবন্ধন ছাড়াই, এমনকি তারা নিবন্ধনের আবেদনই করেনি। বাকি ৫৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নবায়ন করেনি অথবা নিবন্ধনের জন্য নতুন করে আবেদন করেছে।