নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) স্বাক্ষরের ৩৮ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু দুটি ধারায় এখনো আপত্তি প্রত্যাহার করেনি সরকার। দুটি ধারায় আপত্তি রেখেই নিয়ম অনুসারে সিডও কমিটিতে জমা দিতে নবম প্রতিবেদন তৈরি করছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ওই দুটি ধারা অনুসারে, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, অভিভাবকত্ব আইনে নারীকে সমান অধিকার দেওয়ার প্রশ্নে সরকার অবস্থান পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
নারী অধিকারকর্মীদের মতে, নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট রাখতে সিডওর দুটি ধারায় সরকার আপত্তি প্রত্যাহার করছে না। নারীর জীবনে বহুমাত্রায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এরপরও নারীর সম–অধিকারের প্রত্যাশা নিয়ে আজ ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এই মুহূর্তে বলার মতো কোনো পরিবর্তন নেই। নারীর কল্যাণে আপত্তির জায়গা ও দাবির বিষয়গুলোকে সামঞ্জস্য করে কতটা পরিবর্তন আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে আবারও পরামর্শ সভা ডাকা হবে।
তবে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালেও সব পক্ষকে নিয়ে পরামর্শ সভা করেছিল মন্ত্রণালয়। কোনো অগ্রগতি ছাড়াই সেই বৈঠক শেষ হয়।
১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিডও সনদ কার্যকর হয়। সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এটি স্বাক্ষর ও অনুমোদন করে। শুরুতে চারটি ধারার ওপর আপত্তি ছিল। পরে ২ ও ১৬ (১) (গ) ধারার ওপর আপত্তি রেখে বাকি দুটি থেকে তুলে নেওয়া হয়। সিডও সনদের ২ ধারায় নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইনের সংস্কার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং ১৬ (১) (গ) ধারায় বিয়ে ও পারিবারিক আইনে সম–অধিকারের কথা বলা হয়।