কারসাজির বাজারে ভালো থাকা!

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১২

রাজপথে রাজনৈতিক উত্তেজনা আর বাজারে মূল্যবৃদ্ধির আঘাত। জীবনযাপন আর দিনযাপন দুটোই কঠিন হয়ে পড়ছে দিন দিন। অন্যদিকে রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে বাজারে এবং বাজারদরে। জ্বালানি তেলের দামের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, ভোজ্য তেলের সর্বাধিক দাম, চালের বাজারে অস্থিরতা, ডিম নিয়ে কারসাজি, বেসরকারিভাবে সর্বাধিক দামে ডলার কেনাবেচা সবকিছুতেই নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। তবে এই রেকর্ড আনন্দের নয় আতঙ্কের। আতঙ্ক জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আয় না বাড়ার, সামনের দিনগুলো কেমন আসবে, কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যয়ভার, বাসাভাড়া আর পরিবহন খরচ? ফলে প্রতিদিন মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে টান ধরছে আর দরিদ্ররা পথ বের করতে চাইছে কোনোমতে দিন পার করার।


দাম বাড়ছে শুধু নয়, চালের বাজারে চালবাজি, তেলের বাজারে তেলেসমাতি, ডিম নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড, দেশে উৎপাদিত সবজি থেকে শুরু করে আমদানি করা চিনি পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে চলছে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। রড-সিমেন্টও বাদ পড়ছে না তালিকা থেকে। এসব তদারকি করার কথা যে প্রতিষ্ঠানের সেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তৎপরতা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না দাম বরং ১৫ দিনে ভোজ্য তেল থেকে ১৫০০ কোটি টাকা কিংবা ডিম থেকে ৫৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করার কথা মানুষ জেনেছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধিতে যেখানে কেজিপ্রতি চালের দাম ৫০ পয়সা বাড়ার কথা, সেখানে বেড়েছে ৫ টাকা অর্থাৎ ১০ গুণেরও বেশি। ২০ টাকার সবজির দাম ঢাকায় এসে কেন ৪০-/৫০ টাকা হয়ে যায় তার কোনো যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা নেই। মানুষ কিনছে, ফলে কর্তাব্যক্তিরা ভাবছেন মানুষ তো মেনে নিয়েছে এবং তারা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন মানুষের আয় বেড়েছে তো, তাই কোনো সমস্যা হচ্ছে না!


আমরা ভালো আছি, ভালো আছি ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশের তুলনায় ক্ষমতাসীনদের মুখে এসব কথা মানুষ শোনে কিন্তু বিশ্বাস করে কি না বা ভরসা পায় কি না তা বলা মুশকিল। শাসক দলের নেতারা বলেন, মানুষ যদি কষ্টে থাকত তাহলে তো রাস্তায় নামত। কই মানুষ তো কিছু বলে না! আসলে তারা ভালো আছে কারণ আয় বেড়েছে তাদের। একজন আবেগের চোটে বলেই ফেললেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে মনে হবে বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। এসব তো ক্ষমতাসীনদের কথা। বাস্তবে অল্পকিছু মানুষ সুখে থাকলেও আমজনতা যে কষ্টে আছে তা মুখ ফুটে বলতে হবে না কারও। 


মূল্যস্ফীতি নিয়ে নানা জরিপ হচ্ছে, কিন্তু জরিপের সঙ্গে জীবনের মিল থাকছে না। মূল্যস্ফীতি কেন হয় সে বিষয়ে দুই ধরনের মত রয়েছে। অর্থের পরিমাণ তত্ত্ব এবং বাড়তি চাহিদা তত্ত্ব। প্রথমটির ব্যাখ্যা হচ্ছে, বাজারে অর্থ সরবরাহ বাড়লে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ে। তাতে পণ্য আগের মতোই থাকে, কিন্তু মানুষের হাতে টাকা বেড়ে যায়। যে কথা ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী আর নেতাদের মুখ থেকে আমরা অহরহ শুনতে পাচ্ছি। মানুষের আয় অনেক বেড়েছে তাই জিনিসের দাম বাড়লেও মানুষের কষ্ট হচ্ছে না, কেউ না খেয়ে মারা যাচ্ছে না ইত্যাদি। অন্যদিকে বাড়তি চাহিদা তত্ত্ব অনুযায়ী বলা হয় অর্থ ও পণ্য উৎপাদন আগের মতোই আছে, কিন্তু মানুষ বেড়ে গেছে ফলে চাহিদা বেড়েছে। মানুষ খালি পায়ে হাঁটছে না, খালি গায়ে চলছে না, খরচ করছে এবং কিনছে বেশি, এসব কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us