গণমাধ্যম সূত্রমতে, ২৮ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত মর্টারশেল বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্তে এসে পড়ায় সীমান্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দুটি গাছ পুড়ে যাওয়া ছাড়া কারও কোনো ক্ষতি না হলেও কয়েকদিন ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তে হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটিয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অতিসম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলো মাদক ও সন্ত্রাসের ভয়াবহতা বেপরোয়া রূপ ধারণ করেছে। ২৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে অভিযান পরিচালনা এবং একইসঙ্গে মাদকের প্রবেশ রোধে নাফ নদীতে মাছ ধরার ট্রলারের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের এখানে দীর্ঘদিন অবস্থান করার কারণে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। আমাদের বারবার প্রচেষ্টার পরও দেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি তাদের অনীহার কারণে শুরু করতে পারিনি।’ তিনি অভিযানে প্রয়োজনে পুলিশ-র্যাব-বিজিবি-আনসারের সঙ্গে সেনাসদস্য অংশ নেবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।