ইউরোপের দেশ পর্তুগালে জরুরি প্রসূতি সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত কাল হয়ে এসেছিল এক ভারতীয় নারীর জীবনে। গর্ভবতী ওই নারীকে জরুরি প্রসূতি সেবা না থাকা এক হাসপাতাল থেকে অন্য আরেকটি হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। এই ঘটনার পর সমালোচনা শুরু হলে স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তা তেমিদো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাজধানী লিসবনের দে সান্তা মারিয়া হাসপাতালে নবজাতক শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা না থাকার কারণে সেখান থেকে সাও ফ্রান্সিসকো জেভিয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখানেই ওই নারী গত শনিবার মারা যান।
সান্তা মারিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই গর্ভবতী নারীকে সাও ফ্রান্সিসকো জেভিয়ার হাসপাতালের আর্জেন্ট সিজারিয়ান সেকশনে পাঠানো হয়েছিল তাঁর সদ্যঃপ্রসূত ৭২২ গ্রাম ওজনের শিশুটিসহ। শিশুর নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নেওয়ায় তাকে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। পরে শিশুটি বেঁচে গেলেও তার মা মারা যায়।
এদিকে, মার্তা তেমিদো এক বার্তায় জানিয়েছেন, ওই পদে (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) থেকে দায়িত্ব পালনের কোনো যৌক্তিকতা আর তাঁর নেই। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্রও পাঠান। প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ওই ভারতীয় গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর মাত্র ৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন মার্তা তেমিদো।