আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্দলীয় সরকারের দাবিতে 'অহিংস' আন্দোলন চালিয়ে নিতে দলকে সংগঠিত করার পাশাপাশি এই আন্দোলনে যত বেশি সম্ভব জনসস্পৃক্ততা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাষ্য, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গুম, খুনসহ সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির নানা অভিযোগ সাধারণ মানুষকে সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ ও অসন্তুষ্ট করে তুলেছে। তাই সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে তারা এ বিষয়গুলোকেই কাজে লাগাতে চান।
সেইসঙ্গে কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে সরকারি দল ও পুলিশের বাধা এবং মামলা-হামলা থেকে বাঁচতে খানিকটা কৌশলী থাকার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন নেতারা। বলছেন, এ ক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে ধাপে ধাপে বিরতি দিয়ে তারা এই আন্দোলন সংঘটিত করতে চান। সারা দেশের পাশাপাশি তারা বিশেষ নজর দিতে চান ঢাকার কর্মসূচিগুলোর দিকে।
আজ ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথোপকথনে দলের ২ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের রাজনীতির ধরন ও কৌশল নিয়ে এমন ভাবনার কথাই জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে বিএনপি জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কিছু কর্মসূচি শুরু করেছে। ২২ আগস্ট থেকে ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ কর্মসূচি শুরুর দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হামলা, মারধর ও বাধার মুখে পড়েছে দলটি।