ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। নদীর পানি বাড়ায় ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার বেশি।
এর আগে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এরপর থেকেই পানি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যার ও ভাঙনের আশঙ্কা করছেন জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউনিয়নের পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার কালমাটি, চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলের কয়েকশো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেন বলেন, বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে গড্ডিমারী ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাদশা মিয়া বলেন, তিস্তার পানি কমা-বাড়ার ফলে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে বাড়ি-ভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হলে পরিবারগুলো অসহায় হয়ে পড়ে। কিছুদিন আগের ভাঙনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের চিলমারীপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে ফের পানি বাড়তে শুরু করলো। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জাগো নিউজকে বলেন, উজানের ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।