টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ও কার্যকর ব্যক্তির নাম যে শেখ হাসিনা, তা প্রমাণিত সত্য।
উইনস্টন চার্চিলের মতো খুব বেশি দূরদৃষ্টি রেখে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ধারাভাষ্য দিতে অবশ্য যাব না। যখন চার্চিল বলতেন, “তিনিই একজন দক্ষ রাজনৈতিক নেতা, যিনি আগামীকাল, পরের সপ্তাহ, চলতি মাস কিংবা পরের বছরে কি হতে যাচ্ছে তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন।” শুধু বলতে পারি যে, দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগের সামনে দুই ধরনের রাজনৈতিক অপশক্তি দাঁড়িয়ে যেতে শুরু করেছে।
এক. নৈরাজ্যবাদকে সঙ্গী করে একটি বলয়। নৈরাজ্যবাদ হলো, যা রাষ্ট্রকে অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর ও অবাঞ্ছনীয় মনে করে এবং রাষ্ট্রহীন সমাজের সপক্ষে মতপ্রকাশ করে। এই বলয়টি পুনরায় চাইছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টে যা খুশি করার করতে হবে। তারা একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার চায়। অর্থাৎ অনির্বাচিত শাসকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ব্যবস্থা কায়েমে এমন পরিস্থিতি তারা প্রত্যাশা করেন, যেখানে তারা বলতে থাকে, যা খুশি হয়ে যাক, আমরা বঙ্গবন্ধুকে মানি না, আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে মানি না, আমরা শেখ হাসিনাকে মানি না।