কয়েক দিন ধরে সিলেটের চা বাগানের শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন দেশবাসীর নজর কেড়েছে। বিভিন্ন মিডিয়া গুরুত্ব সহকারে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরেছিল। বর্তমান সময়ের বাস্তবতায় একজন শ্রমিকের সারাদিনের শ্রমের মূল্য ১২০ টাকা। এই বিষয়টি শ্রমিকরা যেমন মেনে নিতে পারেননি, ঠিক তেমনি ভাবে জনগণের মধ্যে এক ধরনের আবেগের সঞ্চার করেছে।
শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে চা বাগানের উৎপাদন কমে যায় এবং চায়ের মূল্যবৃদ্ধির মতো একটি অবস্থা তৈরি হয়েছিল। পরে শ্রমিক নেতাদের সাথে চা বাগানের মালিকদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা এই বৃদ্ধি মেনে নিতে পারেনি বিধায় তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।
বাংলাদেশের চলমান বিভিন্ন সমস্যার মতো এই সমস্যাটিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। যখন মিডিয়ার মাধ্যমে শ্রমিকরা জানতে পারে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চা-বাগানের মালিকদের সাথে আলোচনায় বসবেন, ঠিক তখন থেকেই শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা কাজ করতে থাকে এজন্য যে তারা বিশ্বাস করেছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাদের প্রতি সুবিচার করা হবে এবং সেটিই হয়েছে। শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করা হয়েছে। তবে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে জনগণের মধ্যে, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বৈঠক শেষে মিডিয়ার সামনে স্পষ্ট করেছেন।