কোভিড-১৯ মহামারির পর চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারতের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ছিল সাড়ে ১৩ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে দেশটির দেশটির জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ১ শতাংশ। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রবৃদ্ধি দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে, ২০২১ সালের এপ্রিল-জুনে দেশটির জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ২০ দশমিক ১ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি হয়েছিল আগের বছরের কোভিড-১৯ মহামারির কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির তুলনায় একটি বড় অগ্রগতি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতের জিডিপির প্রবৃত্তি হতে পারে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি অনেক প্রখ্যাত অর্থনৈতিক বিশ্লেষকও অনুমান করেছিলেন, ভিত্তি প্রভাবের কারণে ভারতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাবে। তবে, পূর্বাভাসের তুলনায় ভারতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট ধীর গতির ছিল।
চলতি বছর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মধ্য-মেয়াদে খুচরা বাজারে মূল্যস্ফীতির হার ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে থাকার পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিল ২০২২ সাল জুড়ে এই হার বজায় থাকবে। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই পূর্বাভাস বাস্তবে প্রতিফলিত হয়নি। দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল। যা ফলাফল হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হয়েছিল।