নভোচারী বা মহাকাশচারীরা যখন মহাশূন্যে অবস্থান করেন তাদের জীবন যাপন পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের মতো থাকে না। সেখানে পৃথিবীর মতো নিচের দিকে টেনে নেয়ার কোনো ওজন নেই।
মহাকাশ স্টেশন খুব দ্রুত (২৮০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এর ভিতরে যা কিছু পড়ে যাচ্ছে তা ওজনহীন। মহাকাশচারীরা ভোজ্য টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। যা ব্রাশ করার পর গিলে ফেলা যায়। মহাকাশচারীদের দাঁতের মাজন ঠেকাতে যতোটা সম্ভব মুখ বন্ধ করে ব্রাশ করতে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু সেখানে সবকিছু ভাসতে থাকে তাহলে টয়লেটে যাবেন কীভাবে? মহাকাশ স্টেশনে মোট চারটি ল্যাব আছে।
সেখানে আমেরিকা, জাপান, ইইউ আর কানাডার বিজ্ঞানীরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় করছেন। প্রায় জিরো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এখানে (মাইক্রোগ্রাভিটি)। ফলে এটার ভেতর বিজ্ঞানী বা নভোচারীরা ভেসে থাকে। ভেসে থাকা ঠেকাতে যিনি কমোডে বসেন তিনি প্রথমে নিজেকে সিটবেল্ট দিয়ে বেঁধে নেন। প্রসাব করার জন্য একটি লম্বা ফানেলের মত জিনিস থাকে। সেটি মুত্রনালীর মুখের সামনে ধরতে হয়।