খাবারে সুগন্ধ ছড়ায়, আছে নানাবিধ উপকার। মসলা হিসেবে তো বটেই, নানা সমস্যার মহৌষধ হিসেবে যাকে বেছে নিয়েছে গোটা দুনিয়া। রন্ধনবিদেরা তো চেনেনই, এমনকি যাঁরা রান্না করতে ভালোবাসেন না, তাঁরাও চেনেন সেই মসলাটিকে। তার নাম লবঙ্গ।
অনেক লোকে বিশ্বাস করে লবঙ্গগাছের কাণ্ডে যে চারটি পাতা থাকে, সেই চারটি পাতা বিশ্বাস, আশা, প্রেম ও ভাগ্যের প্রতীক।
সর্দি-কাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহু বছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে সর্দি, কফ, ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা আর শ্বাসকষ্টে সুফল পাওয়া যায়।
লবঙ্গে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক আছে। আছে বি-৬, বি-১২, সি, এ, ই, ডি, কে, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন ইত্যাদি। এসব যৌগের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে এবং এগুলো রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
মুখের ভেতর হওয়া রোগ সারিয়ে তুলে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে এটি।
লবঙ্গের পেস্ট ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখলে ব্রণ কমে যাবে এবং এটি দাগও দূর করতে সাহায্য করে থাকে। লবঙ্গ খেলেও ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
লবঙ্গ এনজাইম বৃদ্ধি করে হজমে সাহায্য করে, পেটের অ্যাসিডিটি বা গ্যাস হলেও তা দূর করতে সহায়তা করে।
চায়ে লবঙ্গ ব্যবহার করলে তা অবসাদ দূর করে, শরীর ও মনের ক্লান্তি ঝরিয়ে দেয়।