আমলা তোষণে আইন, হোক না তা অসাংবিধানিক

প্রথম আলো রুমিন ফারহানা প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২, ০৯:৪৭

একটা আইন প্রাথমিকভাবে তৈরি হয় কোথায়? কারা সেই আইনের খসড়া তৈরি করেন? খসড়া তৈরির পর সেই আইন কোথায় যায়? সংসদে আইনটি পাস হয় কী করে? একটা আইনের আইন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার প্রাথমিক ন্যূনতম শর্তই–বা কী? কখন একটি আইন বা তার কিছু অংশ বাতিল বলে গণ্য হয়? এই বাতিল কি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হয় নাকি আদালতের মাধ্যমে বাতিল বলে ঘোষিত হয়ে আসতে হয়? এই মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকলে আলোচনায় সুবিধা হয়।


আইন তৈরি হয় কী করে?


প্রায় সব বিল উত্থাপন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। খুব অল্পসংখ্যক বেসরকারি সদস্যের বিল সংসদীয় বিধিবিধান অনুযায়ী সংসদের কোনো সদস্য দ্বারা উত্থাপন করা হয়। সাধারণত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নীতিনির্দেশনা–সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরি করে এবং একটি প্রাথমিক বিলের খসড়া তৈরি করে সারাংশসহ বিলের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদনের পর যে মন্ত্রণালয় এ বিল উত্থাপন করেছে, সেই মন্ত্রণালয়কে বিলের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরিষদ তা বিবেচনা করে দেখে। তারপর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে হয় একটা চূড়ান্ত খসড়া বিল তৈরি করে নয়তো খসড়া বিলটি পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখে। তারপর চূড়ান্ত খসড়া বিল অথবা খতিয়ে দেখা বিল উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয় এবং অনুমোদনপ্রাপ্তির পর এটাকে সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়।


কোনো অর্থ বিল (কর ধার্যের প্রস্তাব, সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় অথবা অন্যান্য আর্থিক বিষয়) রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়া জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা যায় না। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সুপারিশের পর স্পিকার বিলটিকে সংসদে উপস্থাপনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। বিলটি সংসদে উপস্থাপনের আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সংসদ সদস্যদের ওই বিলের কপি প্রদান করেন। বিল উপস্থাপনকে প্রথম পাঠ বলা হয়। তারপর এ বিলটির ওপর বিশদ আলোচনার জন্য আরেকটি তারিখ ঠিক করা হয়, যাকে বিলের দ্বিতীয় পাঠ বলে অভিহিত করা হয়। এ পর্যায়ে বিলের ওপর আলোচনা হতে পারে অথবা এটি স্থায়ী কমিটি অথবা বাছাই কমিটির কাছে পাঠানো অথবা জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রচার করা যেতে পারে। কমিটি রিপোর্টসহ বিলটিকে সংসদে পাঠাবে। এ রকম রিপোর্টসহ বিলটি বিবেচনার জন্য রাখা হয়। বিলটি গৃহীত হলে স্পিকার ভোটের জন্য সংসদে পেশ করেন।


সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইনের পরিণতি


এ তো গেল আইন তৈরির প্রক্রিয়া। কিন্তু দেশে যেকোনো আইন প্রণয়নের অত্যাবশ্যক পূর্বশর্ত হচ্ছে সেটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন অর্থাৎ সংবিধানের সঙ্গে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক হবে না। সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদ বলছে, ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোনো আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।’ কিন্তু কোনো আইন কিংবা আইনের কোনো ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও সেটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাতিল হয় না। এর জন্য রাষ্ট্রের কোনো নাগরিককে উচ্চ আদালতে রিট করতে হয় কিংবা আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করতে পারেন এবং সেটার নিষ্পত্তির মাধ্যমেই ওই আইন বা আইনের অংশ বাতিল করা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us