শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। কয়েক ঘণ্টা পরই ভেঙে ফেলা হবে ভারতের নয়ডার যমজ অট্টালিকা (টুইন টাওয়ার)। কুতব মিনারের থেকেও উঁচু এই বহুতল ভবন ভাঙা ঘিরে নয়ডায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
আজ রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ অট্টালিকা ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে মাত্র ৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে ফেলা হবে এই বিশালাকার বহুতল।
অট্টালিকা ভাঙা ঘিরে রবিবার সকালে শেষ মহূর্তের তৎপরতা নয়ডায়। বহুতল ভাঙতে গিয়ে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অট্টালিকা ভাঙার আগে কোন সময়ে কী করা হবে, তারই এক ঝলক রইল এখানে।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টায় ফ্ল্যাটগুলোতে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৭ টায় যমজ অট্টালিকা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ শুরু হয়। আশপাশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সকাল ৯ টার মধ্যে অট্টালিকা চত্বর ও তার আশপাশের এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে।
বেলা ১১ টায় যমজ অট্টালিকা চত্বরে যে সমস্ত নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন, তাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হবে। দুপুর ১ টায় পরীক্ষা করে দেখার পর অট্টালিকা চত্বর ছাড়বেন টাস্ক ফোর্সের কর্মকর্তারা।
দুপুর পৌনে ২টায় বহুতল ভবন ভাঙার আগে শেষ মুহূর্তে অট্টালিকা চত্বর আরো এক বার সম্পূর্ণ পরিদর্শন করা হবে। দুপুর সোয়া ২টায় নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করা হবে।
দুপুর আড়াইটায় যমজ অট্টালিকা ভাঙার কাজ শুরু হবে। দুপুর পৌনে ৩টায় খোলা হবে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে।
বিকেল ৪টায় আশপাশের ফ্ল্যাটগুলোতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ আবার চালু করা হবে। পুরোদমে এই পরিষেবা চালু করতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৫টায় সব কিছু খতিয়ে দেখার পর পরিস্থিতি বুঝে আশপাশের বাসিন্দাদের ফেরানো হবে।
যমজ অট্টালিকা ভাঙার আগে আশপাশের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অট্টালিকা সংলগ্ন বাসিন্দাদের বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বহুতল ভবন ভাঙার সময় বাড়ির ছাদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।