সম্প্রতি রাজধানীতে চুরির ঘটনা বেড়েছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে চুরির ঘটনা তদন্তে গতি বাড়ানোর পাশাপাশি চোর ধরতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বাহিনীটির আটটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং ৫০টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চোর ধরতে এবং চুরির ঘটনার মামলার আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
চুরির মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে কী অবস্থায় রয়েছে, সেসব বিষয়েও প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে নির্দেশনায়। ডিএমপির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপির তথ্য বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে গত জুন মাসে চুরির ঘটনা ঘটেছে ২৭টি। জুলাই মাসে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০টি। বাসা-বাড়ি ছাড়াও জুন মাসে বিভিন্ন সড়ক এবং দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে ১৩৫টি। আর জুলাই মাসে এর সংখ্যা ছিল ১২১টি। ধরনের ঘটনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কর্মকর্তারা। যদিও চুরি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সম্প্রতি ডিএমপি এলাকায় সাবেক কিংবা বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমনকি জনপ্রতিনিধিদের বাসা-বাড়িতেও ঘটেছে চুরির ঘটনা। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চোর যখন চুরি করতে আসে তখন সে শুধু সুযোগের সন্ধানেই থাকে। সুযোগ পেলেই চুরি করে চম্পট হয়ে যায়। সেটি পুলিশের বাসা বাড়ি না অন্য কারও বাসা-বাড়ি সে বিষয়টি তখন তাদের জানার প্রয়োজন হয় না।
বিভিন্ন বাসা বাড়িতে সিসিটিভির ফুটেছে থাকা সত্ত্বেও এড়ানো যাচ্ছে না চুরির ঘটনা। এ ব্যাপারে নিজেদের সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।