অনেক দিন ধরে যাচাই-বাছাই এবং অংশীজনের মতামত গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিলম্ব হলেও অবশেষে ঢাকা মহানগরীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সরকারিভাবে অনুমোদন হয়েছে। পৃথিবীতে কোনো আইন দিয়ে একই সঙ্গে সব মানুষকে সমানভাবে খুশি করা যায় না। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। তবে সার্বিক বিচারে যে পরিকল্পনা শহরের সামষ্টিক স্বার্থকে সংরক্ষণ করবে সেটাই শহরের জন্য ভালো পরিকল্পনা। রাজউক তার সব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে অনুমোদিত ড্যাপের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করবে—এটাই প্রত্যাশিত।
এ পরিকল্পনার শুরুতেই বলা হয়েছে মানুষের জীবনে ও জীবনমানে গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য একটি মানবিক শহর তৈরি করাই এ ‘পরিকল্পনার অন্তর্নিহিত দর্শন’। আর পরিকল্পনাটির মূলনীতি হলো ‘ন্যায়সংগত বা অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা’ এবং ‘প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন’। ঢাকা শহরের উন্নয়নে এ দর্শন ও মূলনীতির প্রতিফলিত হোক সেটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা। এটি যেন সযত্নে শেলফে তোলা নীতিবাক্য আর সুন্দর কথামালা হয়ে না থাকে। গণশুনানিতে বিভিন্ন অংশীজনের মতামতকে কীভাবে সমন্বয় করে পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে সেটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।