দেশে এলএনজি আমদানি হচ্ছে ২০১৮ সাল থেকে। এজন্য পরিচালিত হচ্ছে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বা ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ)। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে নির্মিত টার্মিনাল দুটি পরিচালনা করছে স্থানীয় ও বিদেশী দুটি কোম্পানি। টার্মিনাল দুটির দৈনিক সরবরাহ সক্ষমতা ১০০ কোটি ঘনফুট। যদিও এ সক্ষমতার প্রায় অর্ধেকই ব্যবহার করা যাচ্ছে না এলএনজি সংকটে। এর মধ্যেই আবার নতুন করে ১০০ কোটি ঘনফুট সক্ষমতার আরো দুটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেট্রোবাংলা।
বিদ্যমান অবকাঠামোগুলোর সক্ষমতা অনুযায়ী এলএনজি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এর সঙ্গে আবার নতুন করে টার্মিনাল নির্মাণ করতে গেলে জ্বালানি বিভাগ ভয়াবহ আর্থিক চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা খাতসংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, এমনিতেই বিদ্যমান অবকাঠামোগুলোর সক্ষমতা অনুযায়ী এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা। এর ওপর একই সক্ষমতার দুটি নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করে গ্যাস সরবরাহ দিতে না পারলেও শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের অর্থ জোগান দিতে গিয়েই আর্থিকভাবে আরো বিপত্তিতে পড়ে যাবে সংস্থাটি।
দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন বা ১০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ সক্ষমতার এ টার্মিনাল পরিচালনা করবে স্থানীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট গ্রুপ ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি। এরই মধ্যে কোম্পানি দুটি তাদের এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব পেট্রোবাংলার কাছে জমা দিয়েছে। এ প্রস্তাব অনুযায়ী, কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ সক্ষমতার এলএনজির ভাসমান টার্মিনাল পরিচালনা করবে সামিট। অন্যদিকে পটুয়াখালীর পায়রায় একই সক্ষমতার টার্মিনাল পরিচালনা করবে এক্সিলারেট এনার্জি।