চীনের ফাস্ট ফ্যাশন ডিজাইনার ব্র্যান্ড মিনিসো ওয়েইবো, গুয়াংজুতে গত বৃহস্পতিবার পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে বলেছে, নিজেদেরকে জাপানি ডিজাইনার ব্র্যান্ড হিসেবে প্রচার করার জন্য আমরা গভীরভাবে লজ্জিত। গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ পাওয়ার পর তা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে।
বিবৃতিটিতে চীনভিত্তিক ব্র্যান্ডটি আরো জানায়, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে তারা সম্পূর্ণরূপে জাপানি পরিচিতি অপসারণ করবে। এ ছাড়া ২০১৯ সালে তাদের বিপণনে ব্যবহৃত জাপানি উপাদানগুলো তারা সরিয়ে নেবে। ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষ আরো বলেছে, এই গুরুতর ভুলের জন্য তাদের জ্যেষ্ঠ কর্মীদের জবাবদিহি করতে হবে।
খুচরা বিক্রেতা হিসেবে শুরুতে তাদের মধ্যে জাপানি প্রভাব ছিল বলে তারা স্বীকার করেছে। জাপানি ডিজাইনার মিয়াকে জুনিয়া সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কম্পানিটির বোর্ডে ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে কম্পানিটি অন্যান্য দেশে সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর চীনা উদ্যোক্তা ইয়ে গুফোকেকে একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দেখানো হয়। জুনিয়া এবং জাপানি অন্যান্য উৎসের কথা তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে কম্পানিটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, আমরা শুরুর দিনগুলোর ভুল ব্র্যান্ড পজিশনিং এবং বিপণন প্রচারণা ব্যবহার করেছি। আমরা অনুতপ্ত এবং অপরাধবোধে ভুগছি।
এ ছাড়া লোগো এবং দোকানের ডিজাইনের মাধ্যমেও নিজেদের জাপানি হিসেবে জাহির করেছে তারা। জাপানি ব্র্যান্ড ইউনিক্লো থেকে অনুপ্রাণিত লোগো এবং স্টোরফ্রন্ট থেকে শুরু করে তাদের পণ্যগুলো দেখে অনেকেই ভেবেছে তারা জাপানি ব্র্যান্ড। এর আগে স্পেনে চীনা চরিত্র মুলানকে জাপানি পোশাক গেইশা পরানোয় তারা সমালোচনার মুখে পড়েছিল। মিনিসো বলেছে তারা তাদের লোগো পরিবর্তন করবে এবং চীনা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ রপ্তানি করবে।
এদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা পুরো ব্যাপারটিকে হাস্যকর বলছেন, এবং তাদের সাথে মজা করা হয়েছে ভাবছেন। কিছু ব্যবহারকারী বলেছেন, তারা সব সময় সন্দেহ করতেন কিভাবে জাপানে তৈরি পণ্যগুলো এত সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করা হতো। কেউ কেউ আবার বলেছেন মিনিসো কর্মীদের উচিত জাপানি ভাষায় তাদের কাস্টমারকে স্বাগত জানানো।