বান্ধবীর আমন্ত্রণে সিলেটে ঘুরতে এসে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ময়মনসিংহের তরুণী (২৩)। তিন দিন বাসায় আটকে রেখে দুই দফায় ৭ জন তাঁকে ধর্ষণ করে। আর ধর্ষকদের সম্পূর্ণ সহায়তা করেছেন ওই তরুণীকে সিলেটে আসার আমন্ত্রণকারী বান্ধবী জুলেখা নামের এক নারী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরও দুজনের ১ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান।
ওসি মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) জুলেখার সঙ্গে পরিচয়, বন্ধুত্ব হয় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত সিলেট শহরতলীর নাজিরেরগাঁওয়ের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্বামী পরিত্যক্তা ওই তরুণীর বাড়ি ময়মনসিংহে। তিনি থাকেন ঢাকার আজিমপুরে।
নাজমুল হুদা খান আরও বলেন, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে রোববার দিবাগত রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত নাজিরেরগাঁওয়ের জুবায়ের হোসেনের স্ত্রী জুলেখার (১৯) ঘরে ভুক্তভোগীকে আটকে রাখা হয়। শনিবার রাতে ও রোববার রাতে দুই দফায় ৭ জন ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এর সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন জুলেখা। তার সঙ্গে ওই তরুণীর ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। জুলেখার আমন্ত্রণে সিলেটে ঘুরতে আসেন ওই তরুণী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় মামলা রুজু হয়। মামলা দায়েরের পর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জুলেখা (জুলি), জুবায়ের হোসেন (২৮) ও জয়নাল মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করে।