বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলাদেশ তার দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ১ শতাংশ। সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। বাংলাদেশ পর পর দুই বছর জিডিপির দিক থেকে ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে। এই তথ্য উঠে এসেছে পাকিস্তানের ‘গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস’ জার্নালে। তাদের মতে, সাত বছর আগেই বেশ কিছু সামাজিক সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে যেত সক্ষমতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে ‘আইসিপি (ইন্টারন্যাশনাল কম্প্যারিসন প্রোগ্রাম) ২০২২-২১ প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে। সেখানে ‘বাংলাদেশে নীরব অর্থনৈতিক বিপ্লবের মোড়ক উন্মোচন’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস জানিয়েছে, চলতি বছরের ২ মার্চ প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল পাকিস্তানের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাপ্তাহিক ‘দ্য ফ্রাইডে টাইমস’-এ। পাকিস্তানি গণমাধ্যমেও স্বীকার করা হয়েছে, ‘বিশ্বব্যাংক এই ‘আইসিপি আর্টিক্যাল’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঢালাও প্রশংসা করেছে। গোটা দুনিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের ভূমিকা ও সাফল্য ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের প্রধান কাজ হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন। তাই বাংলাদেশের এই সাফল্যে তারা খুশি। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের বিদায়ী ভাইস-প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে।’