অধিকাংশ মানুষ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজের সামর্থ্যকে কাজে লাগাতে চায়। কারণ সেটা সম্পর্কে তার তুলনামূলকভাবে স্পষ্ট ধারণা থাকে। ফলে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। কিন্তু রিচার্ড রামেল্ট তার গুড স্ট্র্যাটেজি ব্যাড স্ট্র্যাটেজি বইয়ে বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়গায় যথাসময়ে নিজের শক্তি প্রয়োগ করার মাধ্যমে প্রত্যাশিত সফলতা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। এক্ষেত্রে তিনি ইরাক-কুয়েত (১৯৯০-১৯৯১) যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করেছেন।
যুদ্ধের শুরুতে সাদ্দাম হোসেন আপাতদৃষ্টিতে অনেকগুলো অ্যাডভান্টেজ ভোগ করছিলেন। তাছাড়া তিনি স্বল্প সময়ে অনেক বেশি শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। সেগুলোর ফলাফল তাকে ‘অতি আত্মবিশ্বাসী’ করে তোলে। কিন্তু কুয়েতের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া যৌথ বাহিনী চেয়েছিল নিজেদের সম্পদের ন্যূনতম ক্ষতি করে যুদ্ধে জয়ী হতে।
তাই মরুভূমিতে যুদ্ধের ব্যাপারে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইরাকি সৈন্যবাহিনী যে যেদিক থেকে সম্ভাব্য আক্রমণের কথা ভেবেছিল, তার সব পথ যৌথ বাহিনী পরিহার করে। বরং পেছন থেকে অপ্রত্যাশিত পন্থায় আকস্মিক আক্রমণ করে শত্রুদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙে দেয়।