বেশ কিছুদিন আগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের আড্ডা চলছে। সেদিন এসএসসি পরীক্ষার ফল বের হয়েছে। আড্ডায় একজন বলেন, এবার পাঁচটা স্কুল থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এ কথা শোনামাত্র একজন ব্যবসায়ী বলে ওঠেন, ‘এখন আর শিক্ষকেরা স্কুলে পড়াতে চান না। সারা দিন প্রাইভেট পড়াতেই ব্যস্ত থাকেন।
আমাকে যদি দায়িত্ব দেয় তাহলে আমি এক দিনেই সব ঠিক করে দিতে পারি।’ কীভাবে সমস্যার সমাধান করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকদের গাছের সঙ্গে বেঁধে বিছুটি মারলেই সব সোজা হয়ে যাবে। বোধকরি দেশের এহেন বিত্তবানেরা নিজেদের আয়নায় দেখেন না। তাই তাঁরা নিজেদের সততা, মূল্যবোধকে পেছনে রেখে অন্য সবকিছুর, অন্য সব সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করার কোনো প্রয়োজন আছে বলেও বোধকরি কেউ মনে করে না। যদিও আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষকদের অবস্থা, রাজনীতি, অভিভাবকদের চাহিদা, সামাজিক পরিবেশ ইত্যাদি বিষয় ভাবনার মধ্যে না থাকলে সারা দেশে কেন শিক্ষক নিগ্রহ চলমান, তা বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু বিত্তবানেরা যেমন এসব বিষয় ভাবতে চায় না, ঠিক তেমনি সংশ্লিষ্টরা এবং সর্বোপরি সমাজও এসব বিষয় ভাবতে চায় বলে মনে হয় না। ফলে ঘটনাগুলো আর শিক্ষক নিগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে হত্যা পর্যন্ত চলে গেছে।