অর্থপাচার বা হুন্ডিতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোর সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এরই মধ্যে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করেছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বিএফআইইউ’র সরেজমিন ডকুমেন্টের সঙ্গে এক্সচেঞ্জগুলোর ব্যাংক হিসাবের লেনদেন যাচাই করা হবে।
এছাড়া ডিজিটাল হুন্ডিতে জড়িত সন্দেহে বিএফআইইউ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসগুলোর (এমএফএস) কয়েকশ এজেন্টের তথ্য চেয়েছে।
সম্প্রতি ওই মানি এক্সচেঞ্জগুলো এবং এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ৬০২টি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের বৈধতা রয়েছে। অনিয়ম পাওয়ায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার অনুমোদন ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। শোকজ করা হয়েছে ৪২টিকে।
যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিজয় মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, বিজয় ইন্টারচেঞ্জ লিমিটেড, নিবেদিতা মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, ক্যাপিটাল মানিচেঞ্জার লিমিটেড, মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, সিটি মনিটারি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, মনডিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, নবিলস মানিচেঞ্জার লিমিটেড, হিমালয় ডলার মানিচেঞ্জার লিমিটেড, ডিপেনডেন্ট মানিচেঞ্জার লিমিটেড, ঢাকা মানিচেঞ্জার লিমিটেড, লর্ডস মানিচেঞ্জার লিমিটেড, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, ডিএন মানিচেঞ্জার লিমিটেড, অংকন মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, বিনিময় মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, কুমিল্লা মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, এএসএন মানিচেঞ্জার লিমিটেড, বিকেবি মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, কেয়া মানি চেঞ্জার লিমিটেড, আলফা মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, ক্রিস্টাল মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, দি লিঁয়াজো মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ও উত্তরা মানিচেঞ্জার লিমিটেড।
এছাড়া মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) বেশকিছু এজেন্টের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এমন কয়েকশ এজেন্টের লেনদেনের তথ্য চেয়ে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দিয়েছে এই ইউনিট।