দেশে 'গ্যাং কালচার' বা কিশোরদের দল গড়ে অপরাধ করার সংস্কৃতি কতদিনের? কেউ কেউ মনে করেন, ২০০১ সালে উত্তরা এলাকায় 'ক্র্যাব গ্রুপ' বা কাঁকড়া দলের অবির্ভাবের মধ্য দিয়ে রাজধানীবাসীর পরিচয় ঘটে কিশোরের দলবদ্ধ অপরাধের সঙ্গে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, পুলিশের সূত্র ও বিষয়ভিত্তিক গবেষকদের মতামত বিশ্নেষণ করে 'দল সংস্কৃতি' সম্পর্কে যা জানা যায়, তার মোদ্দা কথা- এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতা প্রদর্শন, সমীহ আদায়, 'হিরোইজম'-এর উন্মাদনা ইত্যাদি কারণে কিশোর-তরুণরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও দেশের বিভিন্ন শহুরে এলাকায় নানা গ্যাং বা দল গড়ে তুলছে। এসব গ্যাং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা; কিশোরদের জন্য 'পার্টি' বা ফুর্তির আয়োজন; স্কুল-কলেজ থেকে চাঁদা আদায়; হর্ন বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে মোটরসাইকেল বা গাড়ি চালানো; মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয়।
এসব দলের শিশু-কিশোরের গড়পড়তা বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছর হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১১ থেকে ২২-২৩ বছরের তরুণদেরও গ্যাং অপরাধের সঙ্গে দেখা যায়। এদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের কিশোর হলেও, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান ও ঝরে পড়া কিশোরকেও এসব দলে দেখা যায়। কোথাও কোথাও এমনও দেখা গেছে, পুরো দলই বস্তি বা প্রান্তিক পরিবারের শিশু-কিশোর দিয়ে গড়া। যেমন খুলনা শহরে গড়ে ওঠা 'গোল্ডেন বয়েজ'-এর কিশোররা যেখানে সচ্ছল পরিবারের সন্তান; সেখানে 'টিএসপি' গ্রুপের তরুণ সবাই বস্তির বাসিন্দা।